শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৩ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নে পার-কার্তিকপাশা গ্রামের আলাউদ্দিন তালুকদারের ছেলে ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া আব্দুল আহাদকে জীবন্ত কবর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে,একই গ্রামের বাসিন্দা জাফর হাওলাদারের বখাটে দুষ্ট ছেলে জাকারিয়া ও আলাল উদ্দিনের ছেলে জিহাদ,আহাদকে একটি পরিত্যাক্ত ছাড়া ভিটে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং পূর্ব পরিকল্পিত কৌশলে আহাদকে জীবন্ত কবর দেয়ার চেষ্টা করে
সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা এলাকাবাসীর কাছে জানাযায়। এবং লোকমুখে জানাগেছে গত রবিবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১ টার সময় এই ঘটনাটি ঘটে।
এবিষয়ে আহাদের কাছে ঘটনা সত্যতা জানতে চাইলে বলেন, আমাকে একটি জিনিস দেখানোর কথা বলে জাকারিয়া ও তার চাচা আব্দুস সালামের পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বেই একটু গর্ত খোড়া, তারপাশে বাঁশ, পাইপ, কোদাল, দেখে আমি ভয়ে চিৎকার করি তখন সেখানে জিহাদকেও দেখতে পাই তারা দুজনে মিলে আমাকে জীবিত কবর দিয়ে মেরে ফেলবে বলেন। তখন আমি ভয়ে চিৎকার দিয়ে দৌড় দেই তখনি ওরা আমাকে ধরে গর্তের মধ্যে ফেলে দিয়ে জিবীত কবর দেয়ার জন্য চেষ্টা করে। কোনমতে দৌড়ে সেখান থেকে বাহিরে আসলে রাস্তায় মোটর সাইকেল রাখা দেখে জাকারিয়া ও জিহাদ তখনি পালিয়ে যায়।
আমি হাঁপাতে হাঁপাতে পাশের বাড়ির বেল্লাল চাচার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর কাছে পানি চাইতে থাকি। তখন তাদের আমি সব খুলে বলি। তাৎক্ষনিক ওই বাড়ীর লোকেরা আমাকে বাড়িতে পৌছে দেয়। ঘটনার কারন হিসেবে আহাদ বর্ননা দেয় জাকারিয়া ও তার সহপাঠী জিহাদ বিভিন্ন সময় চুরি করে কিছুদিন আগে তার দাদার গাছের লেবু চুরি করতে দেখে আর সে কথা তার দাদাকে বলে দেয়ায় তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে তাই ওরা আমাকে মেরে ফেলবে বলে জানায়।
এব্যাপারে অনুসন্ধানী টিম অভিযুক্ত জাকারিয়ার বাড়িতে গেলে তাদের ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজনেে কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন ঘটনাটি সত্যি জাকারিয়া একটা বখাটে ছেলে এলাকায় তার নামে বহু বদনাম ও চুরির রের্কড ও আছে। এমনকি মাদক সেবন করে বলে জানাযায়। এছাড়াও কিছুদিন আগে পাশের বাড়ির হানিফ হাওলাদারের ঘরে ঢুকে জাকারিয়ার বড় ভাই জাহিদ টাকা পয়সা স্বর্নলংকার চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
কোন ব্যাপারে এদের বাবা মায়ের কাছে বিচার দিলে তারা বিচার করেনা বরং এসব কাজে তারা উৎসহ দেয় বলেই আজ মানুষকে মেরে ফেলার মত সাহস পেয়েছে।
এব্যাপারে আহাদের বাবা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পটুয়াখালী সদর থানার এ,এস,আই শামীম আকন ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে বলে জানাযায়।
এবিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমরা স্থানীয় শালিশ মিমাংসা করে দেব বলে উভয়কে ডেকে এনে বখাটে ছেলেদের চর থাপ্পড় দিয়ে ভবিষ্যতে এধরনের অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতেও বলেছি।
আরো জানাগেছে এবিষয়ে আহাদের পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দিয়েছে বলে তাদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিচ্ছে অপরাধী জাকারিয়া ও জিহাদের পরিবারের লোকজন।
এলাকার জনসাধারন সঠীক বিচারের দাবী জানায়।